সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
বাংলা নিউজডে আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানে ইউক্রেনগামী বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটি তেহরানের ইমাম খামেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র তিন মিনিট পরেই বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয় ১৮০ জন। যার মধ্যে ১৭৬ জনই যাত্রী। এসব যাত্রীদের মধ্যে ৬৩ জনই ছিলেন কানাডিয়ান। এ দুর্ঘটনায় গভীর সমবেদনা জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
বিমানটিতে থাকা অধিকাংশ আরোহীই ইরানি এবং ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক। নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন কানাডীয়, ১০ জন সুইডেনের, চারজন আফগানিস্তানের, তিনজন জার্মানির এবং তিনজন ব্রিটেনের নাগরিক। অপরদিকে নয় ক্রুসহ ১১ জন ইউক্রেনের নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ইরাকি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরানের রাজধানী তেহরানের ঠিক বাইরে ইউক্রেনের যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটি একটি বিমানবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা আঘাত করা হয়েছিল।
তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পশ্চিমা নেতারা বলছেন, ভুলবশত ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। কানাডা এবং যুক্তরাজ্যের নেতারা এই দুর্ঘনার একটি পুর্নাঙ্গ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তিনি বেশ কিছু গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য হাতে পেয়েছেন। এসব তথ্য অনুযায়ী, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এটা হতে পারে যে, এই ঘটনা অনিচ্ছাকৃত।
ট্রুডো আরও বলেন, কানাডীয়দের অনেক প্রশ্ন রয়েছে এবং তারা এর উত্তর চায়। তবে এখনই তিনি কাউকে দোষারোপ করতে চান না। এই বিমানটিকে রাশিয়া নির্মিত টর-এম১ ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা আঘাত করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। পেন্টাগন ও মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেছেন যে, পেন্টাগনের মূল্যায়ন হলো ঘটনাটি দুর্ঘটনাজনক ছিল।
ইউক্রেনের এই বিমানটি এমন এক সময়ে বিধ্বস্ত হলো যখন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা চলছে। গত সপ্তাহে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে গত বুধবার ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর কয়েক ঘন্টা পরেই ইউক্রেনের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। যদিও এই দু’টি ঘটনাকে এখনই সম্পৃক্ত করা যাচ্ছে না। সূত্র : জাগো নিউজ।
আমেরিকা, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের সর্বশেষ খবরের জন্য বাংলা নিউজডের ওয়েবসাইটে আসুন এবং আমাদের Bangla Newsday ফেসবুক পৃষ্ঠাটি সাবস্ক্রাইব করুন।